শনিবার বিকেলে ত্রিপুরা থেকে আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে তিন শিশুসহ ১০ বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন। দীর্ঘদিন হাজতবাস ও সিকিউরিটি হোমে থাকার পর তারা অবশেষে নিজ মাটিতে পা রাখতে পেরেছেন।
ফিরে আসা ব্যক্তিরা:
- নড়াইল:
- মোহাম্মদ মোল্লা (৪০)
- মোহাম্মদ রাজু শেখ (৩৫)
- মো. আলামিন মিয়া (৩২)
- মো. আহাদ মিয়া (৩০)
- কুলসুম বেগম (২৩)
- রিফাত মিয়া (৪)
- সিফাত মিয়া (৬)
- নারায়ণগঞ্জ:
- সুমি আক্তার কাজলী (২৫) - নবজাতক শিশুসহ
- সাজিদা খাতুন (২৪)
পাঁচজন একই পরিবারের:
- নড়াইলের মো. আলামিন মিয়া, তার ভাই আহাদ মিয়া, স্ত্রী কুলসুম বেগম, এবং দুই ছেলে রিফাত মিয়া ও সিফাত মিয়া।
দীর্ঘ অপেক্ষা ও আবেগঘন মিলন:
- দুই বছর কারাভোগ ও সেফহোমে থাকার পর তারা দেশে ফিরেছেন।
- সীমান্তে অপেক্ষমাণ স্বজনদের সাথে আবেগঘন মিলন।
পাচারের শিকার:
- ভালো কাজের প্রলোভনে দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধভাবে ভারতে পাড়ি জমান।
- দালালরা তাদের ফেলে পালিয়ে যায়।
- ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের আটক করে জেলহাজতে পাঠায়।
পরিবারের আনন্দ:
- শিরিনা বেগম, আটক ব্যক্তিদের একজনের পরিবারের সদস্য, দীর্ঘ দুই বছর পর তাদের ফেরত পেয়ে আনন্দিত।
ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের ভূমিকা:
- মো. ওমর ফারুক, কনসুলার অফিসার, জানান, আটক ব্যক্তিরা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে সাজা ভোগ করেছিল।
- ত্রিপুরার নরসিংগড়ে একটি ডিটেনশন সেন্টারে ছিল।
- বাংলাদেশ হাইকমিশন তাদের খোঁজ খবর নেয় এবং তাদের নাম-ঠিকানা বাংলাদেশে পাঠায়।
- দুই দেশের প্রক্রিয়া শেষে তাদের ফেরত পাঠানো হয়।
উপস্থিত কর্মকর্তা:
- মো. ইলিয়াস উদ্দিন, কনসুলার অফিসার
- মো. ওমর শরীফ
- রাম নরেশ সিং, বিএসএফ ডেপুটি কমান্ড
- প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী, সহকারী কমিশনার (ভূমি)
- হাসান আহমেদ ভূঁইয়া, ওসি, আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন
এই ঘটনাটি দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার একটি উদাহরণ।