শবে বরাতের নামাজ ও দোয়া
শবে বরাতের গুরুত্ব:
- হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, এ রাতে আল্লাহ বান্দাদের গুনাহ মাফ করে দেন, জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন।
- এ রাতে অসংখ্য বান্দা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা ও কল্যাণ লাভ করেন।
- প্রতিবছর হিজরি ক্যালেন্ডারের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে শবে বরাত পালন করা হয়।
শবে বরাতের নামাজের নিয়ম:
- শবে বরাতে রাত্র জেগে নফল নামাজ পড়তে বলেছেন নবীজি।
- এ রাতের আলাদা কোনো নামাজ নেই। নফল নামাজই যে যত পারি পড়বো।
- অন্যান্য নফল নামাজ যেভাবে পড়া হয়, এ দিন রাতেও যেভাবে নফল নামাজ পড়তে হবে।
- আলাদা করে কোনো নিয়ত করতে হবে না। আলাদা কোনো নিয়মও নেই।
শবে বরাতের দোয়া:
- শবে বরাতের সব ইবাদতই নফল ইবাদত।
- এ রাতে সবচেয়ে বেশি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে।
- কদরের রাত্রিতে একটা দোয়া পড়া হয় ক্ষমা লাভ করার জন্য। এ দোয়াটা এ রাতেও পড়া যায়।
- গুরুত্বপূর্ণ দোয়াটি হলো:
للَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّى
উচ্চারণ:
আল্লাহম্মা ইন্নাকা আফুয়্যুন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফাফু আন্নি।
অর্থ:
হে আল্লাহ, তুমি ক্ষমাশীল, ক্ষমা পছন্দ করো, অতএব আমাকে ক্ষমা করে দাও।
এছাড়াও এ রাতে:
- কোরআন তিলাওয়াত
- জিকির
- তাসবিহ পাঠ
- পর দিন রোজা রাখা
শবে বরাতের ফজিলত:
- এ রাতে আল্লাহ বান্দাদের প্রতি মনোযোগ দেন।
- ক্ষমাপ্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন।
- অনুগ্রহপ্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন।
- মহানবী সা. বলেন, এ রাতে আল্লাহ তাআলা বনু কালবের ছাগলগুলোর পশমের চেয়ে বেশিসংখ্যক বান্দাকে ক্ষমা করেন।
- এ রাতে ইবাদত করলে অনেক অনেক সওয়াবের ভাগীদার হওয়া যায়।
শেষ কথা:
শবে বরাত একটি মহিমান্বিত রাত। এ রাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা, দোয়া-দরুদ, তিলাওয়াত ও ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর অশেষ রহমত ও ক্ষমা লাভ করার চেষ্টা করা উচিত।