বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশ্বে একই তারিখে রোজা ও ঈদ পালনের আলোচনা ও আহ্বান বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কারণসমূহ:
- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতি: আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো স্থানে চাঁদ দেখার খবর দ্রুততম সময়ে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
- ঐক্য ও সংহতি: একই দিনে রোজা ও ঈদ পালন মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি প্রদর্শন করবে।
- ভুল-ত্রুটি এড়ানো: চাঁদ দেখার বিষয়ে স্থানীয় ভুল-ত্রুটি ও বিভ্রান্তি দূর হবে।
এই বিষয়ে বিভিন্ন মতামত ও প্রস্তাব:
- ইসলামী শরিয়তের আলোকে সমাধান: ইসলামী শরিয়তের নীতিমালা অনুসরণ করে বিশ্বব্যাপী একই তারিখে রোজা ও ঈদ পালনের সম্ভাব্য পন্থা খোঁজা।
- হিজরি ক্যালেন্ডার বাস্তবায়ন: বিশ্বব্যাপী অভিন্ন হিজরি ক্যালেন্ডার ব্যবহারের মাধ্যমে রোজা ও ঈদের তারিখ নির্ধারণ।
- আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডার গ্রহণ: জ্যোতির্বিজ্ঞানের সহায়তায় আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য ক্যালেন্ডার তৈরি করে রোজা ও ঈদের তারিখ নির্ধারণ।
সেমিনার ও আলোচনা:
- মুসলিম উম্মাহ ট্রাস্ট আয়োজিত সেমিনারে বিশ্বব্যাপী একই তারিখে রোজা ও ঈদ পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
- বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এম শসশের আলী সভাপতিত্বে এবং কর্নেল (অব.) জি র মো আশরাফ উদ্দিন মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন।
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান, অধ্যাপক আ ন ম রশীদ আহমাদ মাদানী, অধ্যাপক ড. আযহার উদ-দীন প্রমুখ বক্তৃতা করেছেন।
উল্লেখযোগ্য:
- ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সর্বোচ্চ ফিক্হ একাডেমি একই সময়ে রোজা ও ঈদ পালনে ইসলামী শরিয়তে কোন বাধা নেই বলে মত দিয়েছে।
- বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একই তারিখে রোজা ও ঈদ পালনের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এই আলোচনা ও প্রস্তাব বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি আরও দৃঢ় হবে বলে আশা করা যায়।